আব্দুল্লাহ আল সাকিব (স্টাফ রিপোর্টার) ।। যশোর জেলার মণিরামপুর থানার মহাদেবপুর গ্রামের প্রবাসী হাফিজুর রহমানের অপহৃত স্ত্রী রিমা খাতুন (২৪) কে বগুড়া জেলার ধুনোট উপজেলার ধামাচাপা থেকে উদ্ধার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রিমা খাতুন যশোর মনিরামপুর থানার মহাদেবপুরের মৃত অমেদ আলী গাজীর প্রবাসী ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান গাজীর স্ত্রী।
স্বামী হাফিজুর প্রবাসে থাকায় ফেসবুকে অপর এক মালয়েশিয়া প্রবাসী সোহেল রানার সাথে রিমার পরিচয় হয়। সোহেল রানা বগুড়া জেলার ধনুট থানাধীন ধামাচামা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
পহেলা জুন রিমা নিখোঁজ হলে রিমার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন মণিরামপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন৷
এরপর রিমা খাতুনের পরিবার জানতে পারেন রিমা খাতুন কে প্রবাসী সোহেল রানার নির্দেশে তার আপন ছোট ভাই জুয়েল আহম্মেদ ও তার কয়েক জন সহযোগী মিলে মাইক্রোবাস যোগে এসে যশোর মনিরামপুর থেকে নগদ ৩৬,০০,০০০/- (ছত্রিশ লক্ষ) টাকা ও ১২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ অপহরণ করে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রেখেছে।
পরে ১৬ ই জুন রিমার পরিবার মণিরামপুর থানায় নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১১। মামলাটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখেন যশোর জেলা পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)তে মামলাটি হস্তান্তর করেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সোমেন দাশ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসামীদের অবস্থান সনাক্ত করেন এবং ২৫ জুন ভোরে বগুড়া জেলার ধুনোট উপজেলায় যশোর জেলা ডিবি পুলিশের একটি টিম ধামাচাপায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত রিমা কে উদ্বার করেন। এসময় আটক হয় অপহরণকারী দলের তিন সদস্য জুয়েল আহমেদ, আলমগীর হোসেন ও মামুন উর রশীদ এবং নগদ ষোল লক্ষ টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেন।
যশোর জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনের নির্দেশে ও যশোর জেলা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহম্মদ পুরো অভিযানের তত্ত্বাবধায়নে অভিযানে নেতৃত্ব দেন এস আই সোমেন দাশ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ফেসবুকে পরিচয় হয়ে রিমা খাতুনের ছবি নিয়ে বিকৃত করে তার প্রবাসী স্বামী হাফিজুর ও তার পরিবারের লোকজনের নিকট প্রকাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে পহেলা মে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সোহেল৷ এরপর সোহেলের ভাই জুয়েল এবং অন্যান্য সহযোগীদের মাধ্যমে রিমা খাতুনকে ৩৬ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ অপহরণ করে নিয়ে অজ্ঞাতস্থানে আটক রাখা হয়। আটকৃত আসামীরা আদলতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।