1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
তালিকাভুক্ত হয়েও এমপিওভুক্ত হতে পারেনি বলরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। - চ্যানেল দুর্জয়
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
সদ্যপ্রাপ্ত :
আজ থেকে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে তেল নয় চান্দু হয়ে চমকে দিলেন কার্তিক  লু ঢাকা ঘুরে যাওয়ার পর বিএনপির মাথা ঘুরে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘জন্মের পর থেকে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণে সব পরিকল্পনা করেছে ভারত’ বিক্ষোভে উত্তাল ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় রেফারির সিদ্ধান্তে অধিনায়ক ছাড়া কেউ অসম্মান দেখালে ‘হলুদ কার্ড’ ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন চৌগাছায় দুর্বৃত্তের দেওয়া বিষে নষ্ট হলো কৃষকের ৪বিঘা জমির পাট ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন ব্যর্থ প্রচেষ্টা: ওবায়দুল কাদের দুর্নীতির অজুহাতে বাংলাদেশকে জলবায়ু তহবিল থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে: টিআইবি

তালিকাভুক্ত হয়েও এমপিওভুক্ত হতে পারেনি বলরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০

যশোর প্রতিনিধি›› বিনা বেতনে চাকরি করার দিন শেষ হচ্ছে না সদর উপজেলার বলরামপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের। দীর্ঘ ২৩ বছর বিনাপারিশ্রমিকে শিক্ষাদান করলেও সুদিন ফিরছে না ওই বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ২৩ বছর পরও এমপিওভুক্ত হতে পারেনি বিদ্যালয়টি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৯৭ সালে সদর উপজেলার বলরামপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এসময়ে বিদ্যালয়টি এসএসসি, জেএসসি পরীক্ষায় ঈর্ষানীয় ফলাফল অর্জন করে। এমপিওভুক্তর জন্য সকল যোগ্যতা অর্জন করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কতিপয় ব্যক্তির অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিল করার জন্য নানা রকম ফন্দি ফিকির করতে থাকে। তারা জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেয়।
সূত্র মতে, যশোর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরের সহায়তায় বিদ্যালয়ের সভাপতি এম এম আকরাম হোসেন ওরফে খিদির বিশ্বাস এবং সদর উপজেলার মাহিদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের কারণে এমপিও ভুক্ত হতে পারেন বিদ্যালয়টি।
শিক্ষকদের অভিযোগ, ওই দুর্নীতিবাজরা ১১জন শিক্ষক-কর্মচারীকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগের পায়তারা করে। এই ১১জনের নিয়োগের জন্য কোন বোর্ড করা হয়নি। এমনকি জাল স্বাক্ষর দিয়ে কাগজপত্র তৈরি করা হয়। যে কারণে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সাত শিক্ষকও এমপিওভুক্ত হতে পারেনি।
সূত্র জানায়, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিধি সম্মতভাবে ১৩জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিন্তু বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ চারজনকে বেআইনিভাবে বরখাস্ত করে। বরখাস্ত হওয়া ওই চার শিক্ষক যশোর সদর সহকারী জজ আদালতসহ উচ্চ আদালতে (হাইকোটে) রিট পিটিশন দাখিল করেন। বাকী নয় জনের মধ্যে দুই জন অন্য বিদ্যালয়ে চাকরি নিয়ে চলে যান। অবশিষ্ট সাত জন শিক্ষক বিদ্যালয়টিতে পাঠদান চালিয়ে আসছিলেন। এ বছর বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এমপিওভুক্তর জন্য সকল যোগ্যতা অর্জন করে। নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্তির তালিকাভুক্তও হয়। কিন্তু ওই জালিয়াতি চক্রটি অসৎ উদ্দেশ্যে বিপুল লাভের জন্য বিচারাধীন পদসহ শুন্য ও সৃষ্ট পদে ১১জনকে নিয়োগ দেয়। যা থেকে জালিয়াতি চক্রটি কোটি টাকারও বেশি বাণিজ্য করে। জালিয়াতি চক্রটির কারণেই বিধিসম্মতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সাত শিক্ষক এমপিও হয়নি।
সূত্রের অভিযোগ, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের সকল জাল-জালিয়াতির কাগজপত্র তৈরি করে দেন সদর উপজেলার মাহিদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে ফারুক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান থেকে বলরামপুর বিদ্যালয়ের দূরাত্ব ২০ কিলোমিটার। আমি ওই প্রতিষ্ঠানের কেউ না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এমপিওভুক্তির জন্য সহযোগিতা করেছিলাম। তবে নিয়োগ-বাণিজ্যের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সভাপতি এম এম আকরাম বিশ্বাস ওরফে খিদির বিশ্বাস তার বউমা (বেটার বউ) কে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ও ছেলেকে পিয়ন পদে নিয়োগ দিতে এসব জাল-জালিয়াতি করেছেন। আর বিদ্যালয়ের কেরানি নূর ইসলামকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়েছেন। সভাপতি আকরাম বিশ্বাস ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান চাচা-ভাইপো মিলে এসব অনিয়ম করেছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এম এম আকরাম বিশ্বাস ওরফে খিদির বিশ্বাস বলেন, আমি ডায়াবেটিক রোগি। আমি অসুস্থ্য মানুষ। আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে সব মিথ্যা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি সম্পর্কে জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর সাথে যোযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য কেউ আমার কাছে কোন কাগজপত্র পাঠায়নি। আমার বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ আছে। তারা আমার নামে এসব বলে বেড়াচ্ছে। আমি কোন অন্যায়ের সাথে নেই। আমার কোন স্বাক্ষর কিম্বা কোন রেকর্ড নেই। আমি এ জেলায় ২৪ বছর ধরে চাকরি করছি।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • শুক্রবার (রাত ১২:০১)
  • ১৭ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৯ই জিলকদ ১৪৪৫ হিজরি
  • ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
314
3760547
Total Visitors