1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ - চ্যানেল দুর্জয়
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন

নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১

মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে যশোরের শাহাবাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি একই প্রক্রিয়ায় করোনাকালীন সরকারি বিধি উপেক্ষা করে কর্মচারী নিয়োগের পায়তারা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে কোনো বিধি না মেনেই। সভাপতি ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে এসব যথেচ্ছা করে চলেছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।
এসব ঘটনায় মামলার পর আদালত থেকে শোকজ হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল দপ্তরে অভিযোগ কর হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমসহসহ তাদের আজ্ঞাবহদের লাগামহীন দুর্নীতি ও যথেচ্ছার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

আদালতে মামলা ও বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শাহাবাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯৩ বছরের পুরনো। করোনা মহামারিকালে সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের সভাপতি দলিল লেখক জাহাঙ্গীর আলম ও প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেছেন।
গত ৩০ জুলাই জারি করা সরকারি প্রজ্ঞাপনে জরুরি পরিসেবা ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। বাড়ির বাইরে রেব হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন গত ৫ জুলাই বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সভা আহবান করে ৩ জন চুতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য ৭ জুলাই পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার প্রাক্কালে সভাপতি এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। নেপথ্যে রয়েছে মোটা অংকের বাণিজ্যের পরিকল্পনা। ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের সাথে যোগসাজসে মোটা অংকের অর্থবাণিজ্য করে আশরাফুল আলমকে প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে শরিফুল ইসলাম ৩৬ নাম্বার পেয়ে চুড়ান্ত হলেও ঘুষের টাকা বকেয়া থাকায় তার নিয়োগ আটকে দেন জাহাঙ্গীর আলম। বেশি টাকা পেয়ে অন্য একজনকে নেয়ার পায়তারা করেন। পরে ২০২০ সালে ৪ জানুয়ারি একটি সভা করে প্রচার করা হয় শরিফুলের নাম্বার যোগে ভুল ছিল। নিয়োগ বোর্ডের মতামত সুস্পস্ট নয় উল্লেখ করে নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়। এনিয়ে শরিফুল ইসলাম আদালতে গেলে সমঝোতা করেন সভাপতি। শরিফুলের কাছ থেকে আগাম টাকা নিয়ে আবার নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় তাকে।

এদিকে, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা না করে ৩ এপ্রিল চাচাতো ভাই আশকার আলীকে দিয়ে গাছগুলো সাবাড় করেন তিনি। স্কুলে করিমন এনে গাছের লগ ও কাঠ নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পর পুলিশ এসে গাছ আটয়ে দেয়। সেগুলো প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের জিম্মায় রাখা হয়। পরে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের আজ্ঞাবহ লোকেরা সে কাঠ সরিয়ে উল্টো সভাপতি থানায় একটি জিডি করেন ভাই আশকারের বিরুদ্ধে।
এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডের নামে ভুয়া বিল ভাউচার করে ফান্ডের টাকা আত্মসাত করেছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। কোনো শিক্ষক অন্যায়ের ব্যাপারে কথা বললে তার চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন সভাপতি জাহাঙ্গীর। প্রতিষ্ঠানের শুভাকাঙ্খী ও শিক্ষানুরাগীরা এর প্রতিবাদ করলে তার পোষ্যরা হুমকি দেয়াসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়ারানি করার ভয় দেখান।
এদিকে, বিদ্যালয় থেকে অবৈধভাবে গাছ কাটার ব্যাপারে মামলা হয়েছে। আদালত থেকে শোকজ করা হয়েছে ওই অসাধু চক্রকে। এখন নানামুখি দোড়ঝাঁপ করছেন তারা। এর প্রতিকার দাবি করেছেন এলাকাবাসী। এনিয়ে চরম অসন্তোষও চলছে।
নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও গাছ কাটার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের জমিদাতার নাতি কহিদুল ইসলাম যশোরের জেলা প্রশাসক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, উপপরিচালক খুলনাঞ্চল, উজেলা নির্বাহী আফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া, নিয়োগ বোর্ডের প্রতারণা ও নিয়োগপত্র না দিয়ে তালবাহানার বিষয়ে আদালতে মামলা করেন বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ওই সময়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকপ্রার্থী শরিফুল ইসলাম। মামলায় বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান শিক্ষক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, জেলা শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনাঞ্চলের উপপরিচালক ওই ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার বন্দোপাধ্যায়সহ ৮ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।সূত্র : গ্রামের কাগজ।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার (রাত ১:৪৯)
  • ২৭শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৮ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
166
3275653
Total Visitors