গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উপমহাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন। রোববার (৫ ডিসেম্বর) শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন প্রতিভাবান রাজনীতিক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি শ্রমজীবীসহ এতদঞ্চলের অবহেলিত মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি আরো বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক সংগঠক। তিনি ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের সংগঠিত করতে ১৯২৬ সালে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টি, ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি গঠন করেন।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয়ের পেছনেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
আবদুল হামিদ বলেন, সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের বিকাশসহ এতদঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যে অবদান রেখে গেছেন জাতি তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।