উপসম্পাদকীয় : দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি, শীতকালীন ছুটি, ঈদুল ফিতরের ছুটি, ঈদুল আযহার ছুটি, পূজার ছুটির পরিমান একই রকম ও একই সময়ে হয় না।
একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক, তার স্ত্রী মাদ্রাসার শিক্ষক, তার এক ছেলে হাইস্কুলে পড়ে, এক মেয়ে কলেজে পড়ে গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন, ঈদের ছুটিতে ছেলে মেয়ে তাদের বাবা মায়ের সাথে মামা বাড়িতে বা কোথাও বেড়াতে যেতে চায়; কিন্তু তা কোনোক্রমেই সম্ভব হয় না। একজনের ছুটি শুরু তো আরেকজনের ছুটি শেষ।
কেন একই ক্যাম্পাসে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন ছুটি ভিন্ন রকমের ও ভিন্ন সময়ে হয়? গ্রীষ্মকাল, শীতকাল, ঈদ কি একেক প্রতিষ্ঠানে একেক সময়ে আসে? সারাদেশে ভিন্ন সময়ে তো গ্রীষ্মকাল, শীতকাল, ঈদ আসে না ?
এ বছর ২০২৩ সালে ঈদুল আযহা হাইস্কুলের ছুটি ৯ দিন, গ্রীষ্মকালীন ১০ দিন আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি একত্রে মাত্র ১২ দিন। শীতকালীন অবকাশ হাইস্কুলের ১১ দিন আর প্রাথমিকে মাত্র ০৩ দিন।
বিশেষভাবে লক্ষণীয় একই ক্যাম্পাসে যেসব প্রতিষ্ঠান প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পরিচালিত হয় তারা ৭৬ দিন, মাদ্রাসা ৬০ দিন, কলেজ পর্যায়ে ৭১ দিন আর পাশ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা ৫৪ দিন ছুটি ভোগ করবে।
কেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে সকল বিষয়ে এত বৈষম্য?
কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত নিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, হাইস্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মকালীন ছুটি, শীতকালীন ছুটি, ঈদের ছুটি, পূজার এবং অন্যান্য সব ধরনের ছুটির অভিন্ন তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা সময়ের দাবি। কিশোর কিশোরীদের নৈতিকতা অবক্ষয় রোধে সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে পরিবারের সাথে থাকা আবশ্যক তাই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন ছুটি হওয়া আবশ্যক।
এ ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিন্ন ছুটিতে সরকারের কোন বাড়তি অর্থের প্রয়োজন পড়বে না।
লেখক: মু. মাহবুবর রহমান
সহকারী শিক্ষক, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট
Leave a Reply