1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
খুলনায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন - চ্যানেল দুর্জয়
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২১ অপরাহ্ন

খুলনায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

খুলনার তেরখাদা আড়পাঙ্গাসিয়া গ্রামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

রোববার বিকেলে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো: আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি পলাতক ছিলেন। অপরদিকে এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

নিহত পলাশ ওরফে সবুজ ওই গ্রামের জনৈক লুৎফর রহমানের ছেলে।

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা হলেন উপজেলার বারাসাত গ্রামের তকুব্বর ফকিরের ছেলে রোমান ফকির ও একই গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লার ছেলে মিলু।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মুরাদ শরীফ ও খসরু মোল্লা।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: আলমঙ্গীর হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হত্যা মামলার ৩নং আসামি মিলু মোল্লার বাড়িতে পলাশের প্রায়ই যাতায়াত ছিল। এ কারণে মিলু মোল্লা পলাশ এবং তার স্ত্রী রিক্তা বেগমকে সন্দেহ করত। এ অবস্থায় মিলু মোল্লা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর রাত ৯টায় বাড়ি থেকে পলাশকে ডেকে নেয়।

তারপর থেকে অনেক খোঁজ নেয়ার পর পলাশের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে পলাশের পরিবার গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে আসামি মিলু মোল্লা তার স্ত্রীর অবৈধ প্রেমকে ঠেকানোর জন্য অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বারাসাত গ্রামের উত্তর পাশে বিলের ভেতর নিয়ে গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে।

ঘটনার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে থাকে। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর আসামি রোমান মোল্লা তার শ্বশুর বাড়ি রাজাপুর এসে স্থানীয় কয়েকজনের সামনে পলাশ হত্যাকাণ্ডের গোমর ফাঁস করে। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন নিহত পলাশের মা বেগম বিবি চারজন আসামির নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে এ হত্যা মামলার আসামি রোমান ফকির গ্রেফতার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। ২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল এ মামলার আসামি রোমান ফকিরের দেখানো স্থান থেকে পলাশের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।

২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেরখাদা উপজেলার পাতলা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই বাবর আলী খান চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ২২ জন আদালতে সাক্ষী দেন।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • শুক্রবার (রাত ৯:২১)
  • ২৬শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৭ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
163
3274965
Total Visitors