নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঝালকাঠি সদর উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ হারা বাস উল্টে পুকুরে পড়ে ১৭ যাত্রীর মৃত্যুর চার দিন পর চালককে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে র্যাব। বুধবার (২৬ জুলাই) সকালে গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।
চালকের নাম-মোহন খান(৪০)।
তিনি বলেন, দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে গত সোমবার ওই বাসের সুপারভাইজার ফয়সাল ওরফে মিজানকেও র্যাব গ্রেপ্তার করে।
গত ২২ জুলাই সকাল ৯টার দিকে ঝালকাঠির ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ছত্রকান্দা এলাকায় বাশার স্মৃতি পরিবহনের বাসটি উল্টে রাস্তার পাশের পুকুরে পড়ে গেলে ১৭ যাত্রীর প্রাণ যায়। আহত হন আরও অন্তত ৩৫ জন।
ঘটনার পরপরই চালক, চালকের সহকারী ও সুপারভাইজার পালিয়ে যান।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ বলেছিল, ভাণ্ডারিয়া থেকে ঝালকাঠিগামী বাসটির চাকা ফেটে গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান, তাতেই বাসটি উল্টে যায়।
তবে বেঁচে যাওয়া আরোহীদের অভিযোগ ছিল, ওই বাসের ভেতরে প্রচুর যাত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন। যাত্রাপথে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাসভর্তি করে যাত্রী তোলা হয়েছিল। একপর্যায়ে ভেতরে জায়গা না পেয়ে যাত্রীদের ছাদের উপরে তোলা হয়।
দুর্ঘটনার সময় সুপারভাইজার মিজানও বাসের ছাদে ছিলেন বলে র্যাবকে জানিয়েছিলেন।
সুপারভাইজারের বরাত দিয়ে র্যাব-৮ এর মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম গত সোমবার বলেছিলেন, “দুর্ঘটনার সময় চালক মোহন বেপরোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গেও তর্ক-বিতর্ক করছিলেন। হঠাৎ করেই একটি অটোরিকশা সামনে পড়ে। তখন চালক পাশ কাটাতে যায়। বাসের গতি বেশি থাকায় পাশ কাটিয়ে উঠতে পারেননি। বাস পুকুরে পড়ে। ছাদে থাকায় মিজান রক্ষা পেয়েছেন।”
এ ঘটনায় ২৩ জুলাই রাতে ঝালকাঠি সদর থানার এসআই সুশংকর বাদী হয়ে চালকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
চালক মোহন এবং সুপারভাইজর মিজান ছাড়াও চালকের সহকারী আকাশকে সেখানে আসামি করা হয়।
ওই দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।