মাহিয়ান সিজান,ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় লাইফ কেয়ার হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় রুমানা বেগম নামের এক গর্ভবতীর গর্ভজাত নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালের
মালিক ডা. নিপা মন্ডলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তভোগি রুমানা উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের ইমাম হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় রবিবার রাতে(৩০ আগস্ট) ভুক্তভোগি রুমানা বেগমের আপন বড় ভাই গোলাম আযম ভাণ্ডারিয়া প্রেসক্লাব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তবে সঠিক চিকিৎসা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ডা. নিপা মন্ডল।
গোলাম আযমের অভিযোগ, তার গর্ভবতী বোন রুমানাকে গত ১৯ আগষ্ট ভান্ডারিয়ার লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর হাসপাতাল মালিক ডা. নিপা মন্ডলের কাছে গেলে তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করে একটি চিকিৎসা পত্র দেয়। চিকিৎসার আগে পেটে বাচ্চা নাড়াচাড়া অনুভব করা গেলেও, চিকিৎসাপত্র অনুযায়ী ৭ দিনের ঔষধের কোর্স সম্পন্ন করা হলে বাচ্চার নাড়াচাড়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শনিবার (২৯ আগস্ট) আবার ডা.নিপার কাছে গেলে তিনি আবারও আলট্রাসনোগ্রাফি করেন। রিপোর্ট পাওয়ার পরে তিনি বোনের গর্ভজাত বাচ্চাকে মৃত ঘোষণা করে এবং তার দেয়া চিকিৎসা পত্রের ৫০০ এমজির একটি এন্টিবায়োটিক ঔষুধ কেটে ২৫০ এমজি বানিয়ে আবারও চিকিৎসা পত্র দেয়। গর্ভজাত শিশুর মৃত নিশ্চিত হওয়ার পর কেন ঔষুদের ডোজ কমানো হলো এমন প্রশ্নের করলে তাকে অন্যত্র চলে যেতে বলে ডা. নিপা মন্ডল। পরে নিরুপায় হয়ে ওইদিন রাতেই উক্ত রোগিকে নিয়ে স্থানীয় লাবান্য নামে একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে স্বাভাবিক ডেলিভারি করানো হয় এবং মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লাইফ কেয়ার হসপিটালের মালিক ডাঃ নিপা মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেইভ ড্রাগ দিয়ে সঠিক চিকিৎসা দিয়েছি। তবে, গর্ভজাত বাচ্ছার মৃত নিশ্চিত হয়েও কেন তিনি আবারও একই চিকিৎসা দিলেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক বিচার দাবী ভুক্তভোগি পরিবারের।