বিশেষ প্রতিনিধি।। অভয়নগর উপজেলার ১ নং প্রেমবাগ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে স্বধবা মহিলাকে বিধবা ভাতা কার্ড দেওয়া ও ভাতা কার্ড নিয়ে বাণিজ্যের বিষয়টা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে ভাইরাল হলে, উক্ত বিষয়ে খোজ খবর নিতে গেলে ভুক্তভোগীদের বক্তব্যে মেলে ঘটনার সত্যতা।
স্বধবা নুর নাহার বেগম (৩৫), স্বামী মোঃ জামাল বিশ্বাস,সাং চেঙ্গুটিয়ার ,কাছে এ বিষয় জানতে চাইলে, তিনি তার স্বামীর জীবিত আছে বলে জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বর শাহাদৎ হোসেন সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে অহরহ এ ধরনের ঘটনা ঘটায়।
ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গেলে বেরিয়ে আসে নানা অপকর্ম ও কার্ড বাণিজ্যের কথা।
এ ব্যাপারে এক ভুক্তভোগী মোছাঃ আয়শা বেগম (৫৫) স্বামী মৃত আবুল আলী মোল্যা জানান, আমার বিধবা ভাতার তিন হাজার টাকা উত্তোলনের সাথে সাথে মেম্বর সাহাদৎ এক হাজার টাকা কেটে নেয়।
স্হানীয় খায়ের বিশ্বাস (৬০) জানান, চিটার শাহাদৎ আমার বযস্ক ভাতার দুই হাজার টাকা দিয়ে এক হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছে।
জনৈক আরও এক স্হানীয় জানান, এ রকম গ্রামের অনেকের কাছ থেকে কার্ড দেওয়ার কথা বলে তিন থেকে চার হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে মেম্বর শাহাদৎ।
এ বিষয়ে সংরক্ষিত ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর হালিমা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিধবা ভাতার কার্ড আমাদের ইউনিয়ন পরিষধ থেকে দেওয়া হয় নি। এটা উপজেলা থেকে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য শাহাদৎ হোসেনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিধবা ভাতার কার্ডটি আমি বা আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া হয় নি, কার্ডটি উপজেলা থেকে দেওয়া হয়েছে। কার্ডটি ভুল বসত দেওয়া হয়েছে অতি-শীঘ্রহ কার্ডটির সমাধান করা হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে কার্ড বাণিজ্যের যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে এটা সত্য নয়। এ ব্যাপারে টিম দূর্জয়কে সরেজমিনে তদন্তের আহ্বানও জানান তিনি।