বিশেষ প্রতিনিধি।।করোনা দুর্যোগে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঝুট কাপড়ের ক্ষুদ্র গার্মেন্টসের মালিক ও শ্রমিকরা চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। উৎপাদিত গার্মেন্টস পণ্য সার্কভুক্ত দেশে রফতানি হলেও দু’মাস ধরে বন্ধ। কারখানা বন্ধ থাকায় হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
নীলফামারীর সৈয়দপুর বড় গার্মেন্টস শিল্প কারখানার ফেলে দেয়া ঝুট কাপড় দিয়ে তৈরি গার্মেন্টসের অন্যতম কেন্দ্র। এখানে রয়েছে কয়েকশো ক্ষুদ্র গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও ঝুট কাপড় দিয়ে তৈরি গার্মেন্টস শিল্প কারখানা। এসব কারখানায় তৈরি হয় উন্নতমানের জ্যাকেট, ট্রাউজার,ফুলপ্যান্ট,সার্ট, টি-সার্ট ও শিশুদের বিভিন্ন রকমের বস্ত্র।
এখানকার উৎপাদিত গার্মেন্টস পণ্য সার্কভুক্ত দেশে ও রফতানি হয়। কিন্তু করোনার কারণে কারখানা বন্ধ, উৎপাদন না হওয়ায় সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি দিতে না পারায় বায়াররা অর্ডার বাতিল করেছে।ফলে রফতানি বন্ধ গত দু’মাস ধরে। এছাড়া ঝুট কাপড় গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা ঈদেও ভালো ব্যবসা করেন দেশীয় বাজারেও। কিন্তু লক ডাউনের কারণে সেটাও অনেকটা বন্ধ। ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা।
তারা জানান, তারা বসে আছেন তাদের দেড়মাস ধরে কাজ নেই। এতে তাদের চলাটা খাবারের টাকাটাও নেই।ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বড় ধরণের ক্ষতির মুখে তারা।ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘আগে আমার ৫০ টা মেশিন চলতো এখন ৮-১০ টা মেশিন চালানোও কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’করোনার কারণে অর্ডার থাকা সত্ত্বেও পণ্য, বিদেশে পাঠাতে পারছেন না বলে জানালেন রফতানিকারকরা।তারা জানান, বিদেশতো দূরের কথা দেশে বিক্রি করাটাও তাদের কাছে দুস্কর হয়ে গেছে।ক্ষুদ্র গার্মেন্টস শিল্প কারখানা মালিক সমিতি ক্ষতি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছে।ক্ষুদ্র গার্মেন্টস শিল্প কারখানা মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন আক্তার বলেন, ‘শ্রমিকরা সম্পূর্ণ বেকার অবস্থায় রয়েছেন। সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া এখান থেকে উত্তরণের পথ দেখছি না।’সৈয়দপুরে ৫ শতাধিক গার্মেন্টস শিল্প কাখানায় প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন।