রংপুরের হারাগাছে সংঘবদ্ধভাবে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ায় মেট্রোপলিটন ডিবি’র এএসআই রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজু’র রিমান্ড আবেদনের শুনানী ৪ নভেম্বর ধার্য করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে পিবিআই কার্যালয় থেকে রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আনা হয় রায়হানুলকে। মাথায় হেলমেট পড়িয়ে পুলিশী বেষ্টনী তৈরী করে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
পিবিআই রায়হানুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে হারাগাছ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক স্নিগ্ধা রানী ৪ নভেম্বর রিমান্ড আবেদন শুনানীর দিন ধার্য করেন। রায়হানুলকে পিবিআই কারাগারে প্রেরণ করেছে।
এ তথ্য জানিয়েছেন পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন।
উল্লেখ্য, ২৫ অক্টোবর ডিবি’র এএসআই রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুর নেতৃত্বে ক্যাদারের পুল এলাকার আলেয়া বেগম ওরফে সুমাইয়া আক্তার মেঘলার বাড়িতে মেঘলার সহযোগি সুরভি আক্তার সমাপ্তির সহযোগিতায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরী। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা হারাগাছ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাতেই মেঘলাকে আটকসহ এএসআই রায়হানুল হককে বরখাস্ত করে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়।
পরদিন মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন (৪০) ও আবুল কালাম আজাদ (৪২) লালমনিরহাট থেকে গ্রেফতার করে এবং ঘটনায় জড়িত মেঘলা ও সমাপ্তিকে আদালতে হাজির করে।
বুধবার ধর্ষিত ওই কিশোরী, গ্রেফতার হওয়া বাবুল ও আজাদের জবানবন্দী নেয় আদালত। সেখানে সবাই এসএসআই রায়হানুলের সম্পৃক্ততার কথা জানান। এরপর বুধবার রাতেই রায়হানুলকে পিবিআই হেফাজতে নিয়ে এই মামলায় গ্রেফতার দেখায়।