1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
যশোরের ডিসি এসপি সহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পদস্থদের নিকট চাঁদা দাবি৷ - চ্যানেল দুর্জয়
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৩:২৮ অপরাহ্ন

যশোরের ডিসি এসপি সহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পদস্থদের নিকট চাঁদা দাবি৷

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার।। যশোরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে টেলিফোনে মোটা টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। চাঁদা না দিলে তাদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকিও দেওয়া হয়।
পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (সর্বহারা) পরিচয়ে এই অপকর্ম করা হয়। কোনো কর্মকর্তাকে ফোন করে আবার কোনো কর্মকর্তার নাম্বারে খুদেবার্তা (এসএমএস) পাঠিয়ে চাঁদা চাওয়া হয়। এই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
কথিত চরমপন্থীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মাদ রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহমেদ জিয়াউর রহমান, যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ, চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোসাম্মৎ লুৎফুন নাহার ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মাদ আলমগীরের কাছে চাঁদা দাবি করেছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, যশোর সদর, চৌগাছা ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে ফোন করে সংগঠনের সদস্যদের চিকিৎসা ও মামলার খরচ পরিচালনার জন্য চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার তারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আজ দুপুর একটা ৫০ মিনিটের দিকে আমাকেও ফোন করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। আমি বিষয়টি সাথে সাথে পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। থানায় জিডির প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোসাম্মাৎ লুৎফুন নাহার বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে ফোন করে সর্বহারা পার্টির প্রধান পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি বলেন, ‘তার কর্মীদের চিকিৎসা বাবদ ৩৫ লাখ টাকা লাগবে। ২৫ লাখ সংগ্রহ হয়েছে। বাকি টাকার জন্য আপনি সামর্থ্য অনুযায়ী দেবেন। বিকাশ নাম্বার পাঠাচ্ছি।’
এদিকে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তমিজুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ দুপুর একটার দিকে আমার ফোনে একটি মেসেজ এসেছে। ওই মেসেজে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দিলে পরিবারের সদস্যদের ক্ষতির হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শুধু আমি নই, আমার দুইজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছেও চাঁদা দাবি করা হয়েছে। আমি বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।‘
তিনি আরো বলেন, ‘আশপাশের বিভিন্ন জেলার প্রশাসকদের কাছেও বিভিন্ন সময় এমন মেসেজ গেছে বলে জেনেছি।’
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘আমার কাছেও চাঁদা চাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের কাছে ফোনে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি আমি অবহিত। এর সাথে কে বা কারা জড়িত তা শনাক্তে কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • বুধবার (বিকাল ৩:২৮)
  • ১৫ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৭ই জিলকদ ১৪৪৫ হিজরি
  • ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
258
3719730
Total Visitors