1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে ঢিলেঢালা সড়ক মন্ত্রণালয় - চ্যানেল দুর্জয়
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
সদ্যপ্রাপ্ত :
পাবনার সুজানগর খাদ্য বিষক্রিয়ায় শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিএফইউজে ও জেইউজের তীব্র নিন্দা এক বিভাগ বাদে সারাদেশে চতুর্থ দফায় ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি নিখোঁজের দুইদিন পর নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রণব কুমার বড়ুয়া মারা গেছেন দক্ষতা ছাড়া শুধু জ্ঞান অর্জন করলে আমরা পিছিয়ে পড়বো: শিক্ষামন্ত্রী রিকশাচালকদের মাঝে ৩৩ হাজার ছাতা বিতরণ ডিএনসিসির রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী চৌগাছার সাপেকাটা রোগীর যশোর সদর হাসপাতালে মৃত্যু যশোরে হিট স্ট্রোকে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে ঢিলেঢালা সড়ক মন্ত্রণালয়

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক।।সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আহ্বান, কঠোর শাস্তির নির্দেশ কিংবা মহামারীর দোহাই—কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন পথে বাস–মিনিবাসে বাড়তি ভাড়া আদায় অব্যাহত রেখেছেন পরিবহন মালিক–শ্রমিকেরা।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, পরিবহন মালিকদের দাবির মুখে শুরুতেই ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার পর তা মানতে বাধ্য করার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সড়ক মন্ত্রণালয়। বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠার পর অতীতে অন্তত পরিবহন মালিক–শ্রমিক নেতাদের ডেকে শাসানো হয়। লোক দেখানো হলেও মালিক–শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা কমিটি করে মাঠে থাকার চেষ্টা করে। এবার তাও দেখা যায়নি।

অতীতেও সরকার নির্ধারিত ভাড়া হারের চেয়ে বাড়তি আদায় করেছে পরিবহন মালিক–শ্রমিকেরা। এ জন্য নতুন ভাড়া হার যেদিন থেকে কার্যকর হয়, সেদিন থেকেই জোরালোভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পরিস্থিতি সহনীয় রাখার চেষ্টা করে থাকে। মোটা অংকের টাকা জরিমানা, মামলা–কারাদণ্ড দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষআ থাকে। এবার এর কোনোটাই সেভাবে হয়নি।

আজ মঙ্গলবারও সংসদ ভবন এলাকার নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, যারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন, তারা এই মহামারীতে গণদুশমন বলে চিহ্নিত হবেন। তাঁরা সরকারের সঙ্গে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছেন। তাদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রীর কঠোর ব্যবস্থা কী, এটা স্পষ্ট নয় খোদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাই। একাধিক কর্মকর্তা বলেন,বর্তমান সড়ক পরিবহন আইনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের দায়ে সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদণ্ড কিংবা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে। ১ জুনের পর কাউকে এমন শাস্তি দেওয়া হয়নি। বাড়তি ভাড়া আদায়ের দায়ে সংশ্লিষ্ট পরিবহনের চলাচলের অনুমতি (রুট পারমিট) বাতিলেরও বিধান আছে। কিন্তু এই শাস্তি অতীতেও কোনোদিন প্রয়োগ করা হয়নি।

একজন কর্মকর্তা বলেন, ট্রেন ও লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। বাসের ভাড়া মালিকেরা মুখ দিয়ে বের করার আগেই বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। নামকাওয়াস্তে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) একটা বৈঠক করলেও সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় থেকে আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছে। পরিবহন মালিক–শ্রমিক সংগঠনের শক্তি এই থেকেই বোঝা যায়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর পরিচালক (প্রশাসন) ও চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত ইউসুফ আলী মোল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক মন্ত্রণালয় থেকে লিখিতভাবে কঠোর হওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁরা বিআরটিএর কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাড়তি ভাড়া আদায় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনে রুট পারমিট বাতিল করার বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিআরটিএ সূত্র বলছে, শুরুতে সরকারের পক্ষ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে পরিবহন মালিক–শ্রমিকেরা দুই মাসের লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই বিষয়টা যাতে সংবেদনশীল দৃষ্টিতে দেখা হয়। এ জন্যেই শুরুতেই বাস–মিনিবাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সুযোগটাই নিচ্ছেন পরিবহন মালিক–শ্রমিকেরা।

গত ১ জুন থেকে সারা দেশে বাস–মিনিবাস চলাচল শুরু হয়েছে। সরকারি নির্দেশ হচ্ছে বাস–মিনিবাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখতে হবে। করোনা আতঙ্কে যাত্রী কম। মানুষের মধ্যেও গাদাগাদি করে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনিহা দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ পরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা থাকছে। কিন্তু সরকার ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করলেও ঢাকায় পরিবহন মালিক–শ্রমিকেরা শতভাগ, কোথাও কোথায় ১২০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়েছে। ঢাকায় বাসে উঠলেই রুটভেদে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে।


বিআরটিএ গতকাল ঢাকায় ৫টি এবং চট্টগ্রামে তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। এসব আদালতে ৩৪টি মামলা করা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে সাড়ে ২৮ হাজার টাকা।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শুরুতেই ভাড়া বাড়ানোর বিরোধিতা করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, ‘সরকার এই নতুন ভাড়াও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। এখন বাড়তি ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় করা হচ্ছে। আর এতে নাজেহাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ।’

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (রাত ৪:৫৬)
  • ২রা মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৩শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
154
3338465
Total Visitors