1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
ঝিনাইদহের বারোবাজারের জোড়বাংলা মসজিদের ইতিহাস - চ্যানেল দুর্জয়
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৯:৫১ অপরাহ্ন
সদ্যপ্রাপ্ত :
কায়েমকোলার মাদক কারবারি মিঠুর বীরদর্পে অব্যহত প্রতারণা! চৌগাছায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শামীম রেজা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত যশোর শহরে বিএনপি নেতা দুদুর লিফলেট বিতরণ ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুই কৃষকের ‘ইস্যু না থাকায় গণঅভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে নেমেছে বিএনপি’ রাঙ্গামাটির লংগদুতে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে দু’জন নিহত রাজধানীর ওয়ারীতে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু  দেন মোহরের টাকা পরিশোধ না করায় কুপিয়ে হত্যা বাংলাদেশে আসছেন তুর্কি সিরিজ ‘কুরুলুস উসমান’-এর নায়ক বুরাক

ঝিনাইদহের বারোবাজারের জোড়বাংলা মসজিদের ইতিহাস

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

সালাহ্‌উদ্দীন সাগর ও আব্দুল্লাহ্ আল সাকিব (বারোবাজার থেকে ফিরে) ।। জোড় বাংলা ঢিবি ঝিনাইদহ জেলা এর কালিগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এ অবস্থিত । এটি জোড়বাংলা মসজিদ নামেও পরিচিত । হিজরি ৮০০ সনে আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ এর পুত্র শাহ সুলতান মাহমুদ এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । ১৯৯২-৯৩ সালে বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব  বিভাগের খনন কাজের ফলে এটি আবিস্কৃত হয় ।এটি একটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ । এই মসজিদের পাশেই রয়েছে কিছু কবর । জোড় বাংলা ঢিবি ঝিনাইদহ জেলা এর কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এ অবস্থিত । ঝিনাইদহ জেলা সদর এই স্থানের দূরত্ব ৩০ কি.মি ।


ধারনা করা হয় ৮০০ হিজরির দিকে আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ এর ছেলে শাহ সুলতান মাহমুদ এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন । ১৯৯২-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এর খনন কাজের ফলে এটি আবিস্কৃত হয় । এটি মুলত একটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। আর এই মসজিদ এর পাশেই রয়েছে কিছু কবর । জোড়বাংলা মসজিদের ঠিক উত্তর দিকে একটি পুকুর রয়েছে , এটি অন্ধপুকুর নামে সকলের নিকট পরিচিত । মনে করা হয় সুলতান মাহমুদ শাহ এর শাসনামলের সময় মুসল্লীদের ওজু এবং পানীয় জলের প্রয়োজনের জন্যই এটি খনন করা হয় ।


ছোট ছোট পাতলা ইটের গাঁথা এই মসজিদ ১১ ফুট উচুঁ একটি প্লাটফর্মের উপর স্থাপিত । মসজিদটি প্রবেশ পথের ঠিক উত্তর-পূর্ব কোণের দিকে অবস্থিত । এর প্রবেশ পথ হতে দীঘি পর্যন্ত রয়েছে ইট দ্বারা তৈরি এক সিঁড়ি রয়েছে । এটি একটি বর্গাকৃতির এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ । পরে এই মসজিদটি পুনরায় নির্মাণ করা হয় । বর্তমানে এই মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়া হয় । মসজিদের ঠিক পূর্ব পাশে রয়েছে তিনটি খিলান সংযুক্ত প্রবেশপথ । মসজিদটির চার কোণায় রয়েছে আটকোণ বিশিষ্ট মোট চারটি কারুকাজ করা টাওয়ার । মসজিদের পশ্চিম দিকের দেয়ালে রয়েছে অর্ধবৃত্তাকার আকৃতির পোড়ামাটির নক্সা অলংকরণে তিনটি মেহরাব । এটির উপর চুন বালির কাজ লক্ষ্য করা হয় । এটির দুই পাশে ছোট ছোট পিলার রয়েছে । মাঝের কেন্দ্রীয় মেহরাবটিতে ফুল ও লতাপাতা আঁকা ইটের কাজ লক্ষ্য করা যায় । এর স্থাপত্য শিল্পের জন্য সৌন্দর্য এবং কারুকার্যময় এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদ মুসলিম সভ্যতা এবং উৎকর্ষতার নিদর্শন হিসাবে ধরা হয় ।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • মঙ্গলবার (রাত ৯:৫১)
  • ২১শে মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৩ই জিলকদ ১৪৪৫ হিজরি
  • ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
227
3919671
Total Visitors