মাহিয়ান সিজান : পিরোজপুরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন এক কলেজছাত্রী (১৯)। মঙ্গলবার ভোরে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে পূর্ব পরিচিত একজনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন ওই ছাত্রী।
এ ঘটনায় বখাটে সোহেল মুন্সি (২৬) ও ধর্ষণ চেষ্টায় সহায়তার অভিযোগে ফিরোজা বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত সোহেল শহরের লক্ষিপুরা মহল্লার বাসিন্দা ও ফিরোজা বেগম দক্ষিণ শিয়ালকাঠীর লিয়াকত মার্কেট এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
থানা সূত্রে জানা যায়, ভান্ডারিয়া পৌর শহরের লক্ষ্ণিপুরা মহল্লায় রিপন বেপারীর ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন ফিরোজা বেগম। কলেজে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীর সঙ্গে ফিরোজার সখ্যতা গড়ে ওঠে। বাবা-মাহীন দরিদ্র ওই ছাত্রী ফিরোজা বেগমকে ধর্ম খালা হিসেবে সম্বোধন করতেন। সোমবার সেই ফিরোজার বাড়িতে রাখা কিছু কাগজপত্র আনতে যান ওই ছাত্রী। সেখানেই রাত্রিযাপন করেন। মঙ্গলবার ভোরে সোহেল ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সোহেলকে বাধা দেয়নি খালা ফিরোজাও। তখন কৌশলে ৯৯৯-এ ফোন দেন ওই ছাত্রী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দুজনকে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা করেন। ভান্ডারিয়া থানার ওসি এস.এম. মাকসুদুর রহমান জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।