1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
ইন্টার্ন নির্ভর যশোর জেনারেল হাসপাতাল, বিশেষজ্ঞরা ব্যক্তিগত বাণিজ্যে ব্যস্ত - চ্যানেল দুর্জয়
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
সদ্যপ্রাপ্ত :
পাবনার সুজানগর খাদ্য বিষক্রিয়ায় শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিএফইউজে ও জেইউজের তীব্র নিন্দা এক বিভাগ বাদে সারাদেশে চতুর্থ দফায় ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি নিখোঁজের দুইদিন পর নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রণব কুমার বড়ুয়া মারা গেছেন দক্ষতা ছাড়া শুধু জ্ঞান অর্জন করলে আমরা পিছিয়ে পড়বো: শিক্ষামন্ত্রী রিকশাচালকদের মাঝে ৩৩ হাজার ছাতা বিতরণ ডিএনসিসির রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী চৌগাছার সাপেকাটা রোগীর যশোর সদর হাসপাতালে মৃত্যু যশোরে হিট স্ট্রোকে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

ইন্টার্ন নির্ভর যশোর জেনারেল হাসপাতাল, বিশেষজ্ঞরা ব্যক্তিগত বাণিজ্যে ব্যস্ত

  • প্রকাশিত : বুধবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি : যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা এখন ইন্টার্ন নির্ভর হয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তারাই এখন মূল চিকিৎসকের ভূমিকায় রয়েছেন। আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা ব্যস্ত থাকেন ব্যক্তিগত বাণিজ্যে। গত ১৫ দিনে ইন্টার্নরা একাধিক রোগীকে অন্যত্র রেফার্ড ও মৃত ঘোষণা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে এ অনিয়ম চলে আসলেও কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে নিরব রয়েছেন। বর্তমানে এখানে চিকিৎসাসেবার মান নিয়ে রোগীদের অভিযোগের শেষ নেই।

জানা গেছে, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রতিদিন দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। যশোর ছাড়া ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ উন্নত চিকিৎসাসেবা পাওয়ার আশায় এখানে আসেন। এখানে আসার পর হাসপাতাল নিয়ে তাদের  অভিযোগের শেষ নেই। গত ২৩ ডিসেম্বর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের শিকার হয়ে হাসপাতালে আসেন যশোর শহরের বকচর এলাকার জিন্নাত আলীর ছেলে সুজন (২৫)।  দুপুর ২টা ২২ মিনিটে ভর্তি হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত সার্জারি ওয়ার্ডে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছিলেন। কিন্তু কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিতে আসেননি। ইন্টার্নরা গুরুতর সুজনের চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন । পরে  ইন্টার্ন ডা. আলী তাকে রেফার্ড করেন ঢাকা অথবা অথবা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত ২১ ডিসেম্বর ছুরিকাহত হন আরবপুর এলাকার মালেক শেখের ছেলে আমিনুর রহমান বিষে (৪৫)।  দুপুর ৩টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাকে চিকিৎসাসেবা দিতে আসেননি। ৪ টার দিকে বিষেকে ঢাকায় রেফার্ড করেন ইন্টার্ন ডা.নুসরাত। স্বজনরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার আগেই বিষে মারা যান। বিকেল ৪ টা ৪৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন আরেক ইন্টার্ন ডা. দিপ্তী।

This image has an empty alt attribute; its file name is বন্ধন-হাসপাতাল.gif

এরআগে গত ২২ ডিসেম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন চৌগাছা উপজেলার গরিবপুর গ্রামের  আনসার আলীর ছেলে সামসুর রহমান (৪৫) ও বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা লক্ষণ রায়কে (৬৫) মৃত ঘোষণা করেন ইন্টার্ন ডা. মিনারুল ও ডা. রায়হান। সূত্র জানায়, দুপুরের পর থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত রোগীরা কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দেখা পান না। তারা ব্যক্তিগত বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ওয়ার্ডে কোনো গুরুতর রোগী আসলে ইন্টার্নরা দেখভাল করেন। আর রোগীর অবস্থা একটু খারাপ মনে হলেই তারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে অন্যত্র রেফার্ড করে দায় এড়ান।  ইন্টার্নরা যেন রোগীদের শেষ ভরসা। বিশেষজ্ঞদের অবহেলায় রোগীর ভাগ্যে ফলোআপ চিকিৎসা জোটেনা ঠিকমতো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইন্টার্ন জানান, কোন গুরুতর রোগী আসার পর আগে বিশেষজ্ঞের সাথে মোবাইলে কথা বলতেন। রোগীর  শারীরির অবস্থা ভালো করে না শুনেই মোবাইলে নির্দেশনা দেয়া হয় “চিকিৎসা দাও, আর যদি খারাপ মনে করো তাহলে রেফার্ড করে দিও”। যে কারণে এখন আর কথা বলতে মন চাই না। রোগীর অবস্থা বুঝে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  সার্জারী বিভাগের মতো অন্যান্য বিভাগগুলোতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। প্রতিদিন সকালে একবার ওয়ার্ড রাউন্ড দেয়ার পর আর ওয়ার্ডে যান না কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। রোগীর চিকিৎসাসেবা, রেফার্ড, মৃত ঘোষণা সবকিছু করেন ইন্টার্নরা।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্যেষ্ঠ সেবিকা জানান, হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে। আগে এমন অবস্থা কখনো চোখে পড়েনি। যেদিন থেকে এখানে ইন্টার্নরা এসেছেন সেদিন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দায়িত্বে অবহেলা শুরু করেছেন।

This image has an empty alt attribute; its file name is বন্ধন-হাসপাতাল.gif

বর্তমানে ইন্টার্নরা সব কিছু। কর্তৃপক্ষের সঠিকভাবে জবাবদিহিতা ও কঠোরতা না থাকায় যা ইচ্ছা তাই চলছে। এমন অবস্থার পরিবর্তন হওয়া উচিত। এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আরিফ আহমেদ জানান, ইন্টার্নরা রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেন। এরপর রোগীর অবস্থা বুঝে তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার অথবা কনসালটেন্টের সাথে কথা বলবেন। তিনি আরো জানান, বিশেষজ্ঞের অনুপস্থিতিতে ইন্টার্নরা রোগীকে অন্যত্র রেফার্ড, মৃত ঘোষণা ও ছাড়পত্র দিতে পারবেন না।  এ ধরণের ঘটনা ঘটলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (রাত ৮:২৬)
  • ২৯শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২০শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
340
3287225
Total Visitors