1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
নড়াইলে গৃহহীনদের বরাদ্দকৃত ঘর বন্টনে লাগামহীন অনিয়ম। - চ্যানেল দুর্জয়
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন

নড়াইলে গৃহহীনদের বরাদ্দকৃত ঘর বন্টনে লাগামহীন অনিয়ম।

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল সদর উপজেলার ১৩নং মুলিয়া ইউনিয়নে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দ কৃত ঘর বন্টনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি এ প্রকল্পে বিনামূল্যে ঘর দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিটি উপকার ভূগীদের কাছ থেকে ২০/২৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষীত ৫/৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রেনুকা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলার ১৩নং মুলিয়া ইউনিয়নে ‘ভুমিহীন ও গৃহ হীনদের জন্য সাতটি ঘর বরাদ্দ আনেন সংরক্ষীত ৫/৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রেনুকা বিশ্বাস। হতদরিদ্রের এসব ঘর , মেম্বার রেনুকা বিশ্বাস তার ছেলে জয় বিশ্বাসের নামে একটি এবং বাকী ছয়টি ঘর তার আত্মীয়স্বজন ও এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের টাকার বিনিময়ে বরাদ্দ দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।
এভাবেই রাহুর গ্রাসে চলে যাচ্ছে গরিবের ঘর। ফলে দেশের গৃহহীন দরিদ্র মানুষের মাথা গোঁজার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। মেম্বার রেনুকা বিশ্বাস ভুমিহীন ও গৃহ হীনদের জন্য বরাদ্দ কৃত ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন আমি উপর মহলে তদবীর করে এই ঘর এনেছি কাকে ঘর দেবো আর কাকে দেবনা তা আমার ব্যাপার।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প ভুমিহীন ও গৃহ হীনদের জন্য নড়াইলে সদর উপজেলায় ৭৭ টি ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি ঘর বাবদ সরকার ১,৭১০০০ টাকা বরাদ্দ করেছে।
এই প্রকল্পে অনুমোদিত ঘরের তালিকা উপজেলা পর্যায়ে আসার পর ইউপি চেয়ারম্যানরা সংশ্লিষ্ট উপজেলা থেকে নিজ নিজ ইউনিয়নের তালিকা সংগ্রহ করে কপি দিচ্ছেন মেম্বারদের। এই সুযোগে মেম্বার ও সংরক্ষিত নারী মেম্বাররা তালিকাভুক্ত উপকারভোগীদের বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঘর পাওয়ার সংবাদ দিয়ে ঘর পেতে হলে ২০ থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা বলছেন। আর টাকা না দিলে ঘর পাওয়া যাবে না বলে আসছেন। নড়াইল সদর উপজেলার ১৩নং ইউনিয়নের সর্বত্রই এই অবস্থা বিরাজ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে ঘর বরাদ্দ বাতিল হওয়ার ভয়ে দরিদ্র এসব মানুষ মুখ খুলতে চান না। তবে টাকা দেওয়ার কথা অনেকেই স্বীকার করেছেন।

মুলিয়া ইউনিয়নের উপকারভোগী মিরা বিশ্বাস, ও রাজুবালা সিকদার, পঞ্চানন বর্মন, জানান, ঘর দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতিনিধিরা তাদের কাছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দাবি করেন। এ টাকা দিতে না পারলে ঘর দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন। পরে তারা ধারদেনা ও ঋণ নিয়ে তাদেরকে টাকা দেন। সদর উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নেই টাকা নিয়ে শুধু দরিদ্রদেরকেই নয়, অনেক অবস্থা সম্পন্নদেরকেও এই প্রকল্পের আওতায় ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি বিভিন্ন ইউনিয়নে এই প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি কল্যাণমুখী প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। যারা এ প্রকল্পটি নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (সন্ধ্যা ৬:১৬)
  • ২৯শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২০শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
314
3286757
Total Visitors