1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
বিশেষ ছাড় ও অফারে খামারে পশু কেনাবেচা - চ্যানেল দুর্জয়
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:০৯ অপরাহ্ন

বিশেষ ছাড় ও অফারে খামারে পশু কেনাবেচা

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১

ডেস্ক রিপোর্ট।। এ বছর করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে কুরবানির পশুহাট স্থাপন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ কারণে পশুহাটের অপেক্ষায় না থেকে ক্রেতারা বিকল্প পথে পশু কিনতে শুরু করেছেন। তারা সরাসরি খামারে যাচ্ছেন এবং পছন্দের পশু কিনছেন।

খামারের পক্ষ থেকেও বিশেষ ছাড় ও অফার দেওয়া হচ্ছে। এতে রাজধানী ও আশপাশের খামারগুলোয় ক্রেতার আনাগোনা বেড়ে গেছে। পশু বিক্রিও হচ্ছে দেদার। খামারে খামারে পশু বেচাকেনা জমজমাট হয়ে উঠেছে। রোববার রাজধানীর বেশ কয়েকটি পশুর খামার ঘুরে এবং ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা মোকাবিলায় দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও বাড়তে পারে। এ কারণে কুরবানির পশুহাট বসা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ক্রেতারাও পশুহাটের বিকল্প পথে হাঁটছেন। দুই সপ্তাহ আগে থেকেই তারা খামারে ভিড় করছেন। অনলাইনে অথবা সরাসরি খামারে গিয়ে তারা পশু পছন্দ করছেন। পছন্দ হলে এবং দাম নাগালের মধ্যে থাকলে পুরো টাকা দিয়ে ক্রেতারা পশু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছেন। আবার অনেকে কিছু টাকা দিয়ে বায়না করছেন।

এদিকে, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে খামারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের ছাড় ও অফার দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে-বায়না করলে বা তাৎক্ষণিক পুরো টাকা দিয়ে পশু কিনলে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত পশু খামারে রাখা যাবে। পশুর দেখভাল থেকে শুরু করে খাবার-দাবার পর্যন্ত সবকিছুই খামার কর্তৃপক্ষ বহন করবে। পশুর কোনো সমস্যা হলে তারাই দেখবেন। এমনকি সার্ভিস চার্জ বা সরবরাহ খরচ ছাড়াই খামার থেকে পশু সরাসরি ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ ডেইরি ফারমারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) তথ্য অনুযায়ী-দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় আট লাখ খামার আছে। এর মধ্যে রাজধানী ও আশপাশে খামারের সংখ্যা প্রায় আট হাজার। এ বছর এসব খামারে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার কুরবানিযোগ্য গরু লালন-পালন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব খামারের অর্ধেক গরু বিক্রি হয়ে গেছে। ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার খামারগুলোর ৫০ হাজারের বেশি কুরবানির পশু বিক্রি হয়েছে।

রোববার সকালে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ কোনাখোলা এলাকায় হাবিব এগ্রোয় ক্রেতার উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু নির্বাচনে ক্রেতাদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। হাবিব এগ্রোর কর্মকর্তা মো. হাসেম যুগান্তরকে বলেন, খামারে ৫২টি গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২৪টি গরু বিক্রি হয়েছে। পাঁচটির বায়নাও হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত বছর ক্রেতার এমন আনাগোনা ছিল না। এবার দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে থেকে খামারে হাজির হয়ে ক্রেতারা পশু কিনছেন। আবার তারা পশু রেখেও যাচ্ছেন। এসব পশু ঈদের আগে ক্রেতাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে ক্রেতাকে কোনো বাড়তি টাকা গুনতে হবে না।

হাবিব এগ্রো খামারে আসা রাজধানীর লক্ষ্মীবাজার এলাকার মো. আসলাম যুগান্তরকে বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হাটে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। এ কারণে দুই সপ্তাহ আগে খামার থেকে ৮৫ হাজার টাকায় গরু কিনেছি। তিনি জানান, হাট নিয়ে শঙ্কা থাকায় খামারিরা দাম বেশি চাচ্ছেন। তবে দামাদামি করলে কিছুটা কমে পাওয়া যাচ্ছে।

মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার সাদেক এগ্রো ঘুরে ক্রেতাদের বেশ আনাগোনা দেখা গেছে। খামারসংশ্লিষ্টরা পশু দেখাতে ও বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সাদেক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন যুগান্তরকে বলেন, এ বছর খামারে কুরবানি উপযোগী গরু দুই হাজার ২০০টি, ছাগল ১০০টি এবং দুম্বা ১০০টি ছিল। এক লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৪০ লাখ টাকার গরু খামারে রয়েছে। এখানে ছাগলের দাম ১২ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া প্রতিটি দুম্বার দাম দুই থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, লকডাউনের মধ্যেও বিক্রি ভালো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫০ ভাগ কুরবানি পশু বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনলাইনে ক্রেতার আগ্রহ বাড়ছে, বিক্রিও হচ্ছে।

মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকার খামার মেঘডুবি এগ্রোর মালিক মোহাম্মদ আলী বলেন, এ বছর কুরবানিযোগ্য এক হাজার পশু লালন-পালন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে খামারের প্রায় অর্ধেক পশু বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর কুরবানির আগে খামার থেকে কিছু পশু বিক্রি হতো। বাকিগুলো হাটে বিক্রি করতে হতো। কিন্তু এবার ক্রেতারা খামারে এসে আগেভাগে গরু কিনছেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার যুগান্তরকে বলেন, এখনো রাজধানীতে কুরবানির পশুহাট বসানো হয়নি। হাট বসলে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তদারকি করা হবে। খামারে ইতোমধ্যে কুরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। ক্রেতারাও পছন্দসই পশু কিনছেন। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সেখানে একাধিক টিম কাজ করছে। কোনো অনিয়ম পেলে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া কোনো ক্রেতা যদি মনে করেন পশু কিনে তিনি প্রতারিত হয়েছে এবং অধিদপ্তরে অভিযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার (দুপুর ১:০৯)
  • ৪ঠা মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৫শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ২১শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
258
3402557
Total Visitors