বিশেষ প্রতিনিধি।।
যশোরে হাসেম আলী নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ১৮ জনের নামে একটি মামলা করা হয়েছে। বুধবার রাতে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। গত ১৫ জানুয়ারি রাতে ভাতুড়িয়া গ্রামের হাসেম আলীর ও তার ছেলে আছর আলীর উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা।
পরদিন হাসেম আলী মারা যান।তবে ময়না তদন্তের ভিত্তিতে বুধবার রাতে হত্যা মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় ভাতুড়িয়া নারায়ণপুর গ্রামের মৃত ওসমানের ছেলে নুর ইসলাম ওরফে নুরু মহরীকে (৫০) প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া মামলায় আসামি করা হয়েছে ভাতুড়িয়া গ্রামের আয়নালের ছেলে আব্দুল মান্নান (৫১), আকবরের ছেলে মিন্টু (৪৮), আবুল কাশেমের ছেলে কবিরুজ্জামান ওরফে কাজল (৪৮), মৃত ইন্তাজের ছেলে জাকির (৪৫), আব্দুস সামাদেও ছেলে আতিয়ার ওরফে আতি খোকা (৫০) ওয়াজেদ ড্রাইভারের ছেলে আলামিন (২০), লতিফ গাজীর ছেলে আহসান (৪৮), নুরু মহরীর ছেলে ইসরাজুল (২০)
আব্দুল মান্নানের ছেলে বাপ্পি (২১), মৃত ওসমানের ছেলে ইউনুস (৪২), হাশেমের ছেলে রফিকুল (৩৫), আব্দুস সালামের ছেলে রাজু (৪৪), মফিজুর রহমান মিস্ত্রি ছেলে সোহেল (২০), রবিউলের ছেলে ইমরান (২৮), মৃত ওমর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর (৫০), নুর ইসলামের জামাতা ইনারুল (২৫) ও রওশনের ছেলে আব্দুল গাফফারকে (২৭)।
মামলার এজাহারে নিহত হাসেম আলীর স্ত্রী নীলিমা বেগম দাবি করেন, গত ১৫ জানয়ারি তার ছেলে আছর আলী প্রতিবেশি আকবর আলীর খেজুর গাছের রস খান। এই ঘটনার জেরে আসামিরা ওই দিন রাতে তাদের বাড়িত হামলা করে। এসময় আছর আলীকে মারপিট করলে ঠেকাতে আসেন হাসেম আলী।
এসময় বৃদ্ধ হাসেম আলীকেও ব্যাপক মারপিট করে সন্ত্রাসীরা। ওই দিন রাতে হাসেম আলীর অবস্থার অবনতি হয়। এজন্য পরদিন সকালে সকালে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার হচ্ছিল।
কিন্তু পথে আসামিরা তাকে হাসপাতালে যেতে বাধা দেয় এবং আরেকদফা মারপিট করে। বিকালে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় ওই সময় মামলা হত্যা মামলা না হলেও ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে খুনের আলামত পাওয়ায় বুধবার রাতে হত্যা মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছে।