1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
লালমনিরহাটে খোঁজ মিলেছে বিখ্যাত মাদক সম্রাটের - চ্যানেল দুর্জয়
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন

লালমনিরহাটে খোঁজ মিলেছে বিখ্যাত মাদক সম্রাটের

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় খোঁজ মিলেছে মাদক সম্রাটের। উপজেলার ৮ নং গোকুন্ডা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে তিস্তা সওদাগর পাড়ায় বসবাসকারী বহুল আলোচিত একাধিক মাদকদ্রব্য মামলার আসামী মাদক সম্রাট শহিদুল ইসলাম (৫০)। তিনি ওই এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। আলোচিত মাদক সম্রাট শহিদুল ইসলাম ইতো-মধ্যেই ডিবি, পুলিশ, র‌্যাব-ও লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের হাতে কয়েকবার মাদকদ্রব্য’র বড় বড় চালানসহ গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিনে বেরিয়ে এসে ওই এলাকায় আবারও গড়ে তুলুছেন মাদকদ্রব্য’র সম্রাজ্ঞ্য। তাই নিজ এলাকায় তিনি মাদকের সম্রাট নামে পরিচিত লাভ করেছেন। মাদক সম্রাট সহিদুল ইসলামের অন্যতম মাদকদ্রব্য’র বড় যোগানদাতা তারই আপন ছোট ভায়রা কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার পশ্চিম ফুলমতি গ্রামের মোঃ মুকুল (ওরফে) মকু মিয়ার ছেলে আর এক কুখ্যাত মাদকদ্রব্য হিরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবার ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম।

জুন ২০১৮ ইং ১৯ (১) এর ৩(ক)১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন। এফআইআর নং-১৫ জিআর নং-৪৭/১৪ সহ আরও কিছু মামলা চলমান। মাদকদ্রব্য’র যোগানদাতা তাজুল ইসলাম ও মাদক সম্রাট সহিদুল মিলে লালমনিরহাট জেলা থেকে শুরু করে কুড়িগ্রাম জেলাসহ দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মাদকদ্রব্য’র বড় বড় চালান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন কায়দায় পাচার করে আসছে। এতে করে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ, আর মাদকদ্রব্য পাচারের টাকা দিয়ে সহিদুল ও তার ভায়রা তাজুল ইসলাম তৈরি করছে কোটি টাকার বাড়ি, কয়েক লক্ষ টাকার গাড়িসহ নামে বেনামে সম্পদের পাহাড়। মাদক সম্রাট সহিদুল ইসলাম বলেন, তাজুল আমার ছোট ভায়রা। তার সাথে আমার একটা নিবিড় সম্পর্ক। আমি হাফ প্যান্ট পড়া থেকে জেল খেটেছি, মামলায় ভয় পাইনা। আমার নামে ৩ টি মাদক মামলা চলমান। পুলিশ বলেন, র্যাব বলেন, ওসি বলেন, কেউ আমার কিছু করতে পারবে না। আমার নামে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদকে) অভিযোগ দিয়েও কিছু করতে পারেনি আর পুলিশ কি করবে। আমি সহিদুল ইচ্ছা করলে অনেক কিছু করতে পারি প্রচুর ক্ষমতা আমার। বাংলাদেশে অনেক বড় জ্যাক আছে এমনটি দাবি তার। তবে ৩ টি মামলায় মিথ্যা এটিও দাবি করেন তিনি। তিনি আরও দাবি করেন দীর্ঘ ১৮ বছর থেকে আমি কাপড়ের ব্যবসা করে আসছি। আমার ২/৪ কোটি টাকা থাকতেই পারে। বর্তমানে পারিবারিক সমস্যার কারনে কাপড়ের ব্যবসা বন্ধ আছে, ঠিক এভাবেই কথা গুলো বলেন সহিদুল ইসলাম। কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, সহিদুল ইসলাম ভয়ানক লোক, কেননা যারা মাদক ব্যবসায়ী তারা খারাপ মানুষই হয়। তার দাপটে এলাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না। তার এতো সম্পদের আয়ের উৎস কি? অবৈধ সম্পদের পাহাড় করেছে, তথ্য বেড় করে আইনের আওতায় নেওয়ার জোর দাবী এলাকাবাসীর। গোকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ টোটন বলেন, আমার ইউনিয়নে এতো বড় মাদকের সম্রাট আছে তা আমার জানা ছিলো না। একজন মাদক ব্যবসায়ীর কথা শুনেছি। এ বিষয়ে সামনে আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ মাদক বন্ধের কথা উপস্থাপন করা হবে। লালমনিরহাট সদর থানা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এরশাদুল আলম এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশে অনেক বড় বড় অপরাধী আছে তার তুলুনায় শহিদুল ইসলাম পুলিশের কাছে কিছুই না। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য’র একাধিক মামলা চলমান। আমরা তার উপর নজর রেখেছি খুব শিঘ্রই সহিদুলের পুরো গ্যাং-কে আইনের আওতায় আনা হবে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (রাত ৪:০৪)
  • ২৫শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৬ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
127
3269426
Total Visitors