আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মালয়েশিয়ার কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে ১১ বাংলাদেশিসহ ১৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। শুক্রবার (৮মার্চ) রাতে মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যের কুয়ান্তান শহরের ১৭টি বিনোদন কেন্দ্রে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানের সময় প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৯৪ জনের বৈধ সামাজিক ভিজিট পাস (পিএলএস) এবং অস্থায়ী কাজের ভিজিট পাস (পিএলকেএস) রয়েছে। বাকিদের দেশে থাকার মতো কোনো বৈধ ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট নেই বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশন) জাফরি এমবক ত্বহা।
গ্রেফতারকৃতদের মাধ্যে ১০৩ জন থাইল্যান্ডের, ২ জন লাওস, ১১ জন ভিয়েতনাম এবং ২ জন ইন্দোনেশিয়ার মহিলা যারা সবাই কাস্টমার সার্ভিস গার্ল। এছাড়া ১১ বাংলাদেশিসহ, ৫ মিয়ানমারের, ১ ইন্দোনেশিয়ান এবং ৩ চীনা পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে যাদের বয়স ১৯ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে।
শনিবার (৯ মার্চ) ইন্দেরা মাহকোটায় পাহাং ইমিগ্রেশন অফিসে এক বিবৃতিতে জাফরি এমবক বলেছেন, জিআইএম পাহাং, স্পেশাল ট্যাকটিক্যাল টিম (পাসটাক), জিআইএম পার্লিস, জিআইএম পেরাক এবং জিআইএম নেগেরি সেম্বিলান-এর সহযোগিতায় পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সদর দফতরের গোয়েন্দা ও বিশেষ অপারেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এ অভিযান অভিযান পরিচালনা করা হয়। তিনি আরও বলেন, বিনোদন কেন্দ্রগুলি টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ওয়েচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফটো ব্যবহার করে বিদেশী মহিলাদের প্রচার করত। অফার করা প্যাকেজের উপর নির্ভর করে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত চার্জ আদায় করা হত।
অভিযানে বিনোদন কেন্দ্র থেকে ব্যবসার নথি, ব্যবসার রেকর্ড, চাবি এবং যৌন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের ৯৫টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশটির অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে অপরাধে গ্রেফতার করা বিদেশী নাগরিকদের পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পাহাং স্টেট ইমিগ্রেশনে রাখা হয়েছে। একই আইনের ৫৬(১/ডি) ধারায় ১১ জন স্থানীয় পুরুষ নাগরিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।