ডেস্ক রিপোর্ট |
বঙ্গোপসাগরে নতুন একটি ঘূর্ণিঝড় দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করছে, যার নাম ‘শক্তি’। ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে বাংলাদেশের খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। একই সময় ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র বিষয়ে প্রথম সতর্কতা আসে আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশের এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে। তিনি জানান, সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের নামটি দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এটি বর্তমানে সমুদ্রের গভীরে শক্তি সঞ্চয় করছে এবং যে কোনো সময় নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূল। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ।
পলাশ বলেন, ‘‘বর্তমান সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ও বায়ুচাপের অবস্থা বলছে, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পরিবেশ পুরোপুরি প্রস্তুত। এটি সময়ের ব্যাপার মাত্র। এখনই উপকূলবাসীকে সতর্ক হতে হবে।’’
এদিকে, বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) আগেই জানিয়েছিল, ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে, যা ধাপে ধাপে লঘুচাপ, গভীর নিম্নচাপ হয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি যদি দেশের দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া, ভারী বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে প্রাণহানি এবং সম্পদের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখন থেকেই উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের নৌ যান নিরাপদ স্থানে রাখা, প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ মজুত করা এবং আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার মানসিক প্রস্তুতি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনকে সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply