বিশেষ প্রতিনিধি, রংপুরঃ রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির বিরুদ্ধে স্কুলশিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সংঠনটির নেতাকর্মীরা তার পক্ষ-বিপক্ষ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। একটি পক্ষ শনিবার রাতে ও রবিবার দুপুরে দুই দফা মেট্রোপলিটান পুলিশের কোতয়ালি থানা ঘেরাও করে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। এদিকে, মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টা পরেও প্রধান আসামি রনিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
জানা গেছে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মাঝে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। একটি অংশ চাচ্ছে, রনি অপরাধ করে থাকলে তার বিচার হোক। আবার কেউ কেউ রনির পক্ষে অবস্থান নিলেও তাদের কোনও তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি।
এর আগে শনিবার বিকালে ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি রনি ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলশিক্ষিকা। মামলা রেকর্ড করার পরপরই তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। কিন্তু মামলা করার খবরটি জানাজানি হলে জেলা আওয়ামী লীগের দু-তিন জন নেতা থানায় আসেন।
এ সময় রনির সমর্থক অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা মামলাটি মিথ্যা দাবি করে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
একইভাবে রবিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে আবারও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক জিয়নের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী কোতয়ালি থানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে রনির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান কানন বলেন, যেহেতু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে, তাই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগতভাবেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে আমাদের কিছুই বলার নেই।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদসহ কোনও পুলিশ কর্মকর্তাই মন্তব্য করতে রাজি হননি।