নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
১৯ জুলাই রাত ৮টা। কিশোর শয়ন শেখ (১৪) একই এলাকার রাজুর চায়ের দোকান থেকে ১০ টাকার এক প্যাকেট চানাচুর নিয়ে দৌড় দেয়। রাজুও পিছু নেয়। এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী নিধিখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দার কাছে গিয়ে শয়নকে নিয়ে পড়ে যায় রাজু। শয়নের মাথা সিঁড়ির সঙ্গে আঘাত লেগে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এতে ভয় পায় রাজু। এ সময় অচেতন শয়নকে ঘাড়ে করে পার্শ্ববর্তী পাটক্ষেতে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সে চিন্তা করে ‘শয়ন বেঁচে’ থাকলে এ ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। এই চিন্তা থেকে রাজু শয়নের বুকে পা দিয়ে চেপে ধরে এবং গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় শয়নের দেহ নড়াচড়া দিয়ে ওঠে। পরে তালগাছের ডগা দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে রাজু।
গ্রেপ্তার রাজুর বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। ২০ জুলাই নিধিখোলা গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে শয়নের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সদরের চণ্ডিবরপুর ইউনিয়নের নিধিখোলা গ্রামের নাজমুল শেখের ছেলে।
এ মামলার প্রধান আসামি রাজু মোল্যা (২৭) সোমবার বিকেলে সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে শয়নকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে নিধিখোলা গ্রামের ইলিয়াছ মোল্যার ছেলে রাজু মোল্যাকে পার্শ্ববর্তী পাইকমারী স্কুলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের তথ্য মতে, শয়ন দরিদ্রতার কারণে কখনও ভ্যান বা ঘোড়ার গাড়ি চালাত। রাজু শয়নের কাছে প্রায় ৫০০ টাকা পেত।
মামলার বাদী শিশুটির বাবা নাজমুল শেখ তার সন্তান হত্যার আসামির ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
সদর থানার ওসি মো. ওবাইদুর রহমান জানান, শয়নকে হত্যার কথা স্বীকার করে সোমবার আদালতে জবানবন্দি দেয় রাজু।