যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা লাকির বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। সুদেকারবারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এ মামলা করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
একইসাথে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা তাও জানতে চাওয়া হয়েছে বিভাগীয় মামলা সংক্রান্ত পত্রে। বিভাগীয় মামলা হওয়ার খবরে বেসামাল হয়ে পড়েছেন সুদে কারবারি লাকি। তিনি নিজেকে রক্ষা করতে বিভিন্ন মহলে দেনদরবার চালানোর চেষ্টা করছেন।
ইতিমধ্যে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের দারস্থ হয়েছেন তিনি। সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। স্থানীয়রা সাধারণ মানুষ নিপীড়নকারী লাকির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
গত ২১ ডিসেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম স্বাক্ষরিত বিভাগীয় মামলা সংক্রান্ত পত্র লাকির কাছে পাঠানো হয়েছে। ওই পত্রে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। লাকির এ ধরনের কার্যকলাপে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের। লাকির এ ধরনের কর্মকান্ড সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধি ১৯৭৯ এর পরিপন্থি। এ কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালার ২০১৮ এর ৩(খ) মোতাবেক বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে। একই বিধি মামলার বিধি ৪ এর উপবিধি(৩)(ঘ) মোতাবেক চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্য কোনো শাস্তি প্রদান করা কেন হবে না তা পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ পত্রটির অনুলিপি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় উপপরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে।